বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনকে দস্যুমুক্ত করার দুঃসাহসিক অভিযান নিয়ে দীপংকর দীপন পরিচালিত ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর)। এখন চলছে সিনেমাটির শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। মুক্তির আগেই পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন সিনেমাটির সহকারী পরিচালক তানিন খান৷ এ নিয়ে ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে জানিয়েছেন, শুটিংয়ের বিভিন্ন ঘটনা ও ভুল করায় নির্মাতার চড়ও খেতে হয়েছিল তাকে।
২০১৯ সালে দ্বিতীয় ভাগের শুটিংয়ের সময় সিনেমাটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন তানিন। প্রথম ভাগের ৮-৯ দিনের শুটিং হলেও কিছু অংশ ফের রিশুট করতে হয়েছিল। সিনেমাটিতে তিনজন সহকারীর মধ্যে তানিন একজন। সিনেমার জন্য প্রস্ততি নিতে তাদের ২ মাস লেগেছিল। নির্মাতার সঙ্গে রাত-দিন পরিশ্রম করে দ্বিতীয় ভাগের শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। খুলনাতে দ্বিতীয় ভাগে ১৩ দিন শুটিং হয়। এরপর তিন দিনের বিরতি নিয়ে তৃতীয় ভাগের শুটিং হয়।
এ প্রসঙ্গে এই সহকারী পরিচালক বলেন, অনেক কষ্ট করতে হয়েছিল আমাদের শুটিং শেষ করতে। সিনেমাটির প্রযোজকের দায়িত্ব পান র্যাবের লিগ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাইসুল স্যার। সবকিছুই দেখভাল তার ওপর ছিল। তানিন টিমে যুক্ত হওয়ার পর নিজের পারিশ্রমিকের কথা নির্মাতাকে জানালে তিনি প্রযোজককে কল দিতে বলেন। তাকে বললে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন রেখে দেন। যেহেতু দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগের পারিশ্রমিক পাননি, তাই তানিন জানিয়ে দেন টাকা না পেলে পরবর্তী ভাগের শুটিং করতে পারবেন না। কারণ তার ২৭ দিনের পারিশ্রমিক বকেয়া। মাত্র ২৫ হাজার টাকায় কাজের জন্য রাজি হয়েছিলেন তানিন। নির্মাতার এককথায় কাজটি করতে রাজি হয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
তানিন বলেন, করোনার শুরুর দিকে প্রযোজক পারিশ্রমিকের মধ্যে ৫ হাজার টাকা বিকাশে পরিশোধ করেন। বাকি টাকা এখনো পাইনি। যদি দীপনদা র্যাবকে পুরো টাকাটা আমায় দিতে বলতো, তাহলে অবশ্যই তারা সেটা পরিশোধ করত। কিন্তু সেটা সে করেনি। টাকাটা আমার কাছে কোনো বিষয় ছিল না। বিষয় হলো- কয়েকদিন আগে আমি দীপনদাকে ফেসবুকে মেসেজ দেই যে, দাদা আমার টাকাটা প্রয়োজন, প্রায় ৩ বছর হতে চলল কাজটা শেষ করার। তো উনি আমায় গত রোববার র্যাব হেডকোয়ার্টারে রাইসুল স্যারের সাথে কথা বলতে যেতে বলেন।
আমি সেটাই করলাম, গেলাম ওখানে। রাইসুল স্যার আমায় লাঞ্চ করতে বললেন, উনি তখন মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দুপরের খাবার খেলাম ওখানে। এরপর কিছুক্ষণ পর উনি আমায় ডেকে পাঠালেন, বললেন তুমি দীপনকে এত কল, মেসেজ করে বিরক্ত করো কেন, তার এক্সপ্রেশনে খুব বিরক্তির ছাপ ছিল। আমি রীতিমতো বললাম, স্যার আমি এখনো টাকা পাই। আমার বাকি টাকাটা ক্লিয়ার করে দিন, আমি খুব ফিনানশিয়ালি সমস্যায় আছি। তো উনি আমাকে শুধু বললেন, এরপর থেকে দীপনকে আর কল করবে না, সে খুব চাপে আছে। এখন যাও দীপন আসুক সামনাসামনি কথা হবে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুব ‘ভদ্রবেশি থ্রেট’ মনে হয়েছে। তাকে আমি বুঝানোর চেষ্টা করলাম কিন্তু সে আমায় আর সময় দিল না। ফাইনালি আমি সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসি।