জলপাইয়ের আচার হচ্ছে অতি লোভনীয় একটি খাবার | অ্যাডভোকেট অনামিকা ভট্টাচার্য
এই গরমে টক জাতীয় যে কোনোকিছু দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে।
জলপাইয়ের আচার হচ্ছে অতি লোভনীয় একটি খাবার। রেসিপি আর কী বলবো! সবারই জানা আছে। তবু আমি নিজের মতো করে বানিয়েছি। সেটাই বলছি।
আমার মতো ফাঁকিবাজের পক্ষে বাটাবাটি কিংবা ব্লেন্ড করার ঝামেলা করা সম্ভব নয়। যতটা সংক্ষেপে করা যায় করেছি।
রেসিপিঃ-
জলপাইয়ের আচার হচ্ছে অতি লোভনীয় একটি খাবার | অ্যাডভোকেট অনামিকা ভট্টাচার্য
এক কেজি কাঁচা জলপাই ভালো করে ধুয়ে ফুটন্ত গরম জলে বিশ মিনিট সিদ্ধ দিয়ে নিয়েছি। তারপর ভালো করে পানি ঝরিয়ে ছুরি দিয়ে দু’ফালি করে কেটে নিয়েছি। পরিমাণ মতো লবণ মাখিয়ে নিয়েছি। একটা বাটিতে হলুদের গুঁড়ো, শুকনো লাল মরিচের গুঁড়ো, জিরের গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো নিয়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে মসলা পেস্ট তৈরি করেছি। কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে রসুন কুচি, গোটা পাঁচফোড়ন, দুই টুকরো দারচিনি, কয়েকটি কাঁচা মরিচ ফালি, তেজপাতা ও ছেড়া শুকনো মরিচ এবং মসলা পেস্ট দিয়ে নেড়েচেড়ে তার ওপর পরিমাণ মতো গুড় দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখি। তারপর লবণ দিয়ে মেখে রাখা জলপাইগুলো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখি। ঘর জুড়ে তখন মিষ্টি একটা গন্ধ ছেয়ে যায়। অতঃপর জলপাইয়ের টক ঝাল মিষ্টি আচার একটি পাত্রে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের বৈয়মে ভরে সংরক্ষণ করতে হয়।
আর হ্যাঁ, আচারে পানির বদলে সিরকা দেওয়া যায়। আর সিরকা দিলে আচার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। আমি অবশ্য সিরকা ব্যবহার করিনি। কারণ আমি জানি আমার আচারের বৈয়ম খালি হতে বেশিদিন লাগবে না।
জলপাইয়ের কিছু উপকারিতাঃ-
জলপাইয়ের আচার হচ্ছে অতি লোভনীয় একটি খাবার | অ্যাডভোকেট অনামিকা ভট্টাচার্য
১) পেটের চর্বি কমাতে খুব কাজ করে জলপাই। প্রতিদিন দুই/তিনটে জলপাই(লবণ ছাড়া, খালি খালি) খেলে খুব সহজেই পেটের চর্বি কমবে।
২) প্রতিদিনের রান্নায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহারে ওজন কমবে দ্রুত গতিতে ও খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
৩) জলপাইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “সি”। যা দাঁত ও ত্বকের যত্নে কাজে আসে।
৪) জলপাইয়ে থাকা ভিটামিন “এ” সংবেদনশীল চোখের জন্য খুব উপকারি।
৫) প্রাকৃতিক আয়রনের বড়ো উৎস হচ্ছে জলপাই। জলপাই খেলে আমাদের শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ হয়।
৬) জলপাই কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
রেসিপি – অ্যাডভোকেট অনামিকা ভট্টাচার্য