ইফতারে হোক একগ্লাস প্রাণ জুড়ানো খেজুর ও বাদামের মিল্কশেক।
বৈশাখের তীব্র গরমে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে একগ্লাস ঠান্ডা পানীয় হলে আর কিছুই লাগে না। আর সেই পানীয় যদি হয় শক্তির উৎস ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ তাহলে তো কথায়ই নেই। ইফতারে সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে এমন একটি পানীয় খেজুর ও বাদামের মিল্কশেক।
খেজুর ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। চিনির বিকল্প হিসেবে খেজুর একটি আদর্শ ফল। তাছাড়া এটি শক্তির উৎসও বটে। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এছাড়া খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি। যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
ইফতারে হোক একগ্লাস প্রাণ জুড়ানো খেজুর ও বাদামের মিল্কশেক।
এই মিল্কশেকটি তৈরির আরেকটি উপাদান কাঠবাদাম। কাঠবাদামে রয়েছে ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বাদাম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তস্বল্পতা দূর করে। এটি মস্তিস্ক, হাড়, চুল ও ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী।
এবার আসি খেজুর ও বাদামের মিল্কশেক তৈরি প্রণালীতে…
দুই গ্লাস মিল্কশেকের জন্য যা যা লাগবে–
মাঝারি আকারের খেজুর ৮/১০টি
কাঠবাদাম ৮/১০টি
মধু ১ চা চামচ (খেজুর মিষ্টি বলে চিনি দিতে হয় না। তবুও যারা বেশি মিষ্টি পছন্দ করেন তারা মধু না দিয়ে চিনি দিতে পারেন।)
ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ
ফুটানো ঠান্ডা দুধ এক গ্লাস
পানি এক গ্লাস
বরফ কুচি
ইফতারে হোক একগ্লাস প্রাণ জুড়ানো খেজুর ও বাদামের মিল্কশেক।
বাদাম
খেজুর
ইফতারে হোক একগ্লাস প্রাণ জুড়ানো খেজুর ও বাদামের মিল্কশেক।
প্রস্তুর প্রণালী–
খেজুর ও বাদাম ১০ মিনিটের মতো কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর কাঠবাদামের খোসা ফেলে দিতে হবে। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এ কাজটা সহজ হয়। এরপর খেজুরের বিচি ফেলে দিয়ে খেজুর ও বাদাম ব্লেন্ডারে নিতে হবে। এরপর একে একে দুধ, মধু, ভ্যানিলা এসেন্স ও পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ভালোভাবে ব্লেন্ড হয়ে গেলে পরিবেশনের জন্য এই মিল্কশেক দুটো গ্লাসে নিয়ে নিন। ওপরে কয়েক টুকরো বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন ইফতারের টেবিলে। এছাড়া যেকোনো অনুষ্ঠানে আপ্যায়নের জন্যও এই মিল্কশেকটি রাখা যায়।
রেসিপি- সালসাবিলা নকি